What is SSL Certificate? Why and how to use SSL on your website?

What is SSL Certificate? Why and how to use SSL on your website?

SSL মূলত একটি নিরাপত্তা স্তর, তাই প্রতিটি ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। SSL সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইট এবং আপনার ওয়েবসাই

আপনি প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটের URL এর বাম পাশে একটি লক চিহ্ন দেখতে পাবেন। প্রকৃতপক্ষে এই লকটি সেই ওয়েবসাইটে এসএসএল সার্টিফিকেটের উপস্থিতির প্রমান দেয় এবং এর মানে হল যে এই ওয়েবসাইটটি SSL সার্টিফিকেট দিয়ে সুরক্ষিত।

SSL মূলত একটি নিরাপত্তা স্তর, তাই প্রতিটি ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। SSL সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইট এবং আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য হ্যাকারদের থেকে রক্ষা করে।

Table of Contents

  • SSL কি – What is SSL
  • SSL সার্টিফিকেট কি – What is SSL certificate
  • SSL সার্টিফিকেট কি ধরনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে
  • SSL এর প্রকারভেদঃ
  • এসএসএল সার্টিফিকেট কত প্রকার??
  • ওয়াইল্ডকার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট
  • মাল্টি-ডোমেইন SSL সার্টিফিকেট
  • ডোমেইন Validation SSL সার্টিফিকেট
  • Organization Validation SSL সার্টিফিকেট
  • Extended Validation SSL সার্টিফিকেট
  • SSL সার্টিফিকেট যেভাবে কাজ করে
  • SSL সার্টিফিকেটের সুবিধা কি কি
  • কোন ধরনের SSL সার্টিফিকেট কিনতে হবে?
  • SSL সার্টিফিকেটের সুবিধা
  • কেন আপনি SSL ব্যবহার করবেন?
  • কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL ব্যবহার করবেন?
  • কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস
  • SSL এর নেগেটিভ দিকঃ

✔️ SSL কি – What is SSL

SSL হল বর্তমান সময়ের একটি স্ট্যান্ডার্ড সিকিউরিটি টেকনিক। SSL হল একটি এনক্রিপ্ট করা প্রোটোকল যা আপনার ওয়েব সার্ভার এবং আপনার ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে একটি নিরাপদ সংযোগ স্থাপন করে। এবং এটি নিশ্চিত করে যে আপনার ওয়েব সার্ভার এবং ব্রাউজারের মধ্যে স্থানান্তরিত ডেটা হ্যাকারদের থেকে নিরাপদ।

SSL_HTTPS_padlock.png

✔️ SSL সার্টিফিকেট কি – What is SSL certificate

এসএসএল সার্টিফিকেট হল এক ধরনের ডিজিটাল সার্টিফিকেট, যা একটি ওয়েব সার্ভার এবং ব্রাউজারের মধ্যে একটি এনক্রিপ্ট করা সংযোগ স্থাপন করার জন্য, ওয়েব সার্ভারে ইনস্টল করা হয়। একটি SSL সার্টিফিকেট এর সাথে ২ টি কী থাকে। প্রথমটি ব্যক্তিগত কী এবং দ্বিতীয় টি হল পাবলিক কী। ব্যক্তিগত কী নিরাপদ ভাবে রাখা হয়। আর সার্টিফিকেট সহ পাবলিক কী প্রকাশ্যে বিতরণ করা হয়।

সাধারণত, ওয়েবসাইটে এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়, ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড লেনদেন, ডেটা ট্রান্সফার, ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড বা সেই ওয়েবসাইটে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ডেটা লেনদেন সুরক্ষিত রাখার জন্য।

তাই যখনই আপনি কোন ওয়েবসাইটে আপনার ব্যক্তিগত বা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবেন অথবা আপনার ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড দিয়ে যে কোন কিছু কিনবেন, তার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ওয়েবসাইটটিতে এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়েছে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কোন ওয়েবসাইট এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করছে তা আমরা কিভাবে বুঝব ? এবং কোন ওয়েবসাইট SSL সার্টিফিকেট ছাড়া চলছে?

কোন ওয়েবসাইটের এসএসএল সার্টিফিকেট চেক করার জন্য প্রথমে আপনি সেই ওয়েবসাইটের URL দেখুন। আপনি দেখতে পাবেন যে URL টি HTTP অথবা HTTPS এর দ্বারা শুরু হয়েছে। যদি আপনি দেখেন যে URL টি HTTPS দিয়ে শুরু হয়েছে, তার মানে এই ওয়েবসাইটটি SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করছে। আর যেহেতু ওয়েবসাইটটি এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করছে তাই এটি একটি নিরাপদ ওয়েবসাইট হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। আপনি https এর শুরুতে একটি তালার ছবিও দেখতে পাবেন। আপনি যদি এই লকে ক্লিক করেন, তাহলে আপনি এসএসএল সার্টিফিকেট সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেখতে পাবেন।

যদি URL টি http দিয়ে শুরু হয় তাহলে এই ওয়েবসাইটটি এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করছে না এবং এটি একটি অনিরাপদ ওয়েবসাইট। সুতরাং আপনার এই ধরনের ওয়েবসাইটে যে কোন ধরনের লেনদেন করা এড়িয়ে চলা উচিত।

✔️ SSL সার্টিফিকেট কি ধরনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে

একটি SSL সার্টিফিকেটে নিম্নলিখিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে –

  • ডোমেইন নামের জন্য এসএসএল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।
  • সেই ব্যক্তি, কোম্পানি বা ডিভাইস সম্পর্কে তথ্য যার জন্য SSL সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
  • যে সার্টিফিকেট কর্তৃপক্ষ এসএসএল সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে তার নাম।
  • সার্টিফিকেট কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল স্বাক্ষর
  • এসএসএল সার্টিফিকেট ইস্যু করার তারিখ
  • এসএসএল সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ
  • পাবলিক কী

✔️ এসএসএল সার্টিফিকেট কত প্রকার??

  • সিঙ্গেল ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট
  • ওয়াইল্ডকার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট
  • মাল্টি-ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট
  • ডোমেইন Validation SSL সার্টিফিকেট
  • Organization Validation এসএসএল সার্টিফিকেট
  • Extended Validation SSL সার্টিফিকেট
  • সিঙ্গেল ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট
  • একক ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট শুধুমাত্র একটি ডোমেইন নামকে সুরক্ষিত রাখবে মানে একটি ওয়েবসাইটকে। উদাহরণস্বরূপ যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য একক ডোমেইন SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করি তাহলে এই সার্টিফিকেট শুধুমাত্র bdtechtuner.com কে রক্ষা করে। এছাড়া সিঙ্গেল ডোমেইন SSL সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইটের সাব ডোমেইন কে সুরক্ষা প্রদান করবে না।

✔️ ওয়াইল্ডকার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট

ওয়াইল্ডকার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট, একটি ডোমেইন এবং তার অনেক সাব-ডোমেইনকে সুরক্ষিত করে। এটি একটি ওয়াইল্ডকার্ড অক্ষর () সহ একটি একক সার্টিফিকেট। এখানে (Asterisk Symbol) মানে সাব-ডোমেইন নেম।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা আমাদের stacklearner.com ওয়েবসাইটের জন্য ওয়াইল্ডকার্ড SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করি, তাহলে এই সার্টিফিকেটটি এর পাশাপাশি stacklearner.com ওয়েবসাইটের সমস্ত সাব-ডোমেইনকে সুরক্ষিত করবে।

✔️ মাল্টি-ডোমেইন SSL সার্টিফিকেট

মাল্টি-ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট একসাথে একাধিক ওয়েবসাইটকে রক্ষা করে। অর্থাৎ, আপনি একাধিক ওয়েবসাইটের সুরক্ষার জন্য একটি মাল্টি ডোমেইন SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন!

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার একাধিক ব্যবসা আছে এবং আপনি প্রতিটি ব্যবসার জন্য আলাদা ওয়েবসাইট চালান। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি আপনার সমস্ত ওয়েবসাইট আলাদা আলদা SSL সার্টিফিকেট দিয়ে সুরক্ষিত করতে চান সেটা অনেক ঝামেলার। তাই প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা SSL সার্টিফিকেট নেওয়ার পরিবর্তে, আপনি একটি মাল্টি ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট দিয়ে সমস্ত ওয়েবসাইট সুরক্ষিত করতে পারবেন।

মাল্টি-ডোমেন এসএসএল সার্টিফিকেটকে UCC (ইউনিফাইড কমিউনিকেশনস সার্টিফিকেট) বা SAN (সাবজেক্ট অলটারনেটিভ নেম সার্টিফিকেট) বলা হয়ে থাকে।

✔️ ডোমেইন Validation SSL সার্টিফিকেট

সাধারণত ডোমেইন Validation এসএসএল সার্টিফিকেট সস্তা বা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর সেরা উদাহরণ এনক্রিপ্ট এসএসএল সার্টিফিকেট । DV SSL সার্টিফিকেট 256-বিট এনক্রিপশনের সাথে আসে। যেসব ওয়েবসাইটের ওনার শুধুমাত্র তাদের সাইটের ডোমেইন নাম যাচাই করতে চান, তারা ডোমেইন ভ্যালিডেশান SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করেন।

✔️ Organization Validation SSL সার্টিফিকেট

SSL সার্টিফিকেটে প্রতিষ্ঠানের বৈধতা, কোম্পানি, ব্যবসা বা সংগঠন CA অর্থাৎ সার্টিফিকেট অথরিটি দ্বারা যাচাই করা হয়। প্রকৃতপক্ষে অর্গানাইজেশন ভ্যালিডেশন এসএসএল সার্টিফিকেটের মূল উদ্দেশ্য হল ব্যবসার সংবেদনশীল তথ্য এনক্রিপ্ট করা এবং তা সুরক্ষিত করা।

Organization Validation এসএসএল সার্টিফিকেট 2048-বিট Signature এবং 256-বিট এনক্রিপশন সহ আসে! এবং তারা ডোমেইন ভ্যালিডেটেড এসএসএল সার্টিফিকেটের চেয়ে বেশি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য।

✔️ Extended Validation SSL সার্টিফিকেট

এক্সটেন্ডেড ভ্যালিডেশন এসএসএল সার্টিফিকেট, ডোমেইন ভ্যালিডেশন এবং অর্গানাইজেশন ভ্যালিডেশন এসএসএল সার্টিফিকেট পাওয়ার চেয়ে অনেকটাই কঠিন। কারণ এই এসএসএল সার্টিফিকেট পেতে হলে, কিছু Globally Standardized Identity Verification Process কমপ্লিট করতে হয়। এবং তারপরে এই SSL সার্টিফিকেট সক্রিয় হতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় প্রয়োজন হয়।

✔️ SSL সার্টিফিকেট যেভাবে কাজ করে

যখন কোন ব্রাউজার এসএসএল সার্টিফিকেট আছে এমন কোন ওয়েব Server এর সাথে কানেক্ট হয়, তখন ব্রাউজার প্রথমে তার পরিচয় Web সার্ভার কে পাঠায়। এরপর ওয়েব সার্ভার ব্রাউজারকে তার ওয়েব সার্টিফিকেট পাঠায়। তখন Browser ওয়েব Server টি Trustworthy কিনা তা চেক করে দেখে এবং চেক শেষ হওয়ার পর Web Server কে একটি মেসেজ পাঠায়। এরপর Browser এবং Web সার্ভারের মধ্যে ডিজিটাল Encrypted Data প্রদর্শিত হয়। এই পুরো প্রসেসে, ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার নিজেদের মধ্যে ট্রাস্টেটভাবে Data প্রদর্শন করে এবং Browser, ওয়েব সার্ভারের Data Secured দেখায়। SSL সার্টিফিকেটের সুবিধা এসএসএল সার্টিফিকেট কী এবং এটি কত প্রকার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি এখন পর্যন্ত জেনেছেন। তাহলে আসুন এখন জেনে নিই SSL সার্টিফিকেটের সুবিধা কি কি

  • এসএসএল সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটরদের ডেটা রক্ষা করে।
  • SSL আপনার ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করে।
  • এসএসএল সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইটের গ্রাহকের বিশ্বাস ও আয় বৃদ্ধি করে।
  • এসএসএল সার্টিফিকেট আপনার ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

✔️ কোন ধরনের SSL সার্টিফিকেট কিনতে হবে?

এসএসএল কি এবং কত প্রকারের এসএসএল সার্টিফিকেট আছে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আপনি নিশ্চয়ই ভালো করে জেনে গেছেন। তাই এখন সবচেয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল, কোন এসএসএল সার্টিফিকেট আমাদের কিনতে হবে? তাই যদি আপনিও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান, তাহলে আপনার জন্য উপরে উল্লেখিত SSL সার্টিফিকেটের ধরনগুলি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং যদি আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে যেখানে লোকেরা প্রতিদিন তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে লেনদেন করে, তাহলে আপনার উচিত একটি ভালো কোম্পানি এবং বিশ্বস্ত SSL সার্টিফিকেট কেনা।

কিন্তু আপনি যদি একটি নলেজ বেস ব্লগিং ওয়েবসাইট চালান, যেখানে আপনার ভিজিটরদের কোন প্রকার লেনদেন করতে হয় না বা তাদের লগইন করার জন্য ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হয় না, তাহলে এই ধরনের ওয়েবসাইটে আপনি ডোমেইন Validation SSL বা নরমাল SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে এসএসএল সার্টিফিকেট এনক্রিপ্ট করতে চান, তাহলে আপনি আপনার ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডারের সাথে কথা বলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে এটি ইনস্টল করতে পারেন।

একইভাবে, যদি আপনি আপনার কোম্পানির জন্য এসএসএল সার্টিফিকেট খুঁজছেন, তাহলে আপনি ওয়াইল্ডকার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট এবং অর্গানাইজেশন ভ্যালিডেশন এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন।

✔️ যেভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ইনস্টল করে ব্যবহার করবেন

সাধারণত কিছু বাংলাদেশি Vendor বিভিন্ন আশ্বাসের সাথে SSL সার্টিফিকেট অফার করে থাকে। এছাড়া অনেক বিদেশী ভালো ব্র্যান্ড এর SSL সার্টিফিকেট রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি সহজেই কিনে নিয়ে সেটআপ করিয়ে নিতে পারবেন। তবে ভালো SSL সার্টিফিকেট ক্রয় করার সময় অবশ্যই “Website Security Seal” সহ ক্রয় করবেন কারন এটি আরেকটি দৃশ্যমান নির্দেশক যেটি আপনার ভিজিটরকে ওয়েবসাইট সিকিউরিটি বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

এছাড়া আপনি নিজে SSL সার্টিফিকেট সেটাপ করতে চাইলে সেটা সিপ্যানেলের (cPanel) মাধ্যমে সেটাপ করতে পারবেন। সিপ্যানেল ছাড়াও আপনি জেডপ্যানেল (ZPanel), ভিস্তাসিপি (Vesta Control Panel) বা ওয়েবুজোর (Webuzo) মাধ্যমেও SSL সেটাপ করতে পারবেন।

সিপ্যানেলের মাধ্যমে যেভাবে SSL ইনস্টল করবেন? (যদিও সবগুলার ইনস্টল সিস্টেম প্রায় একই রকম)

  • প্রথমে আপনার সিপ্যানেলে SSL অপশনে যান
  • তারপর “Private Key” সেটাপের প্রয়োজন পড়বে
  • এখন আপনাকে CSR (Certificate Signing Request) সেটাপ করতে হবে। এখান থেকে আপনি SSL ইস্যু করবেন।
  • এবার আপনার কেনা SSL কাস্টমার প্যানেলে লগইন করুন। এখানে আপনি CSR বের করতে পারবেন। তারপর CSR সাবমিট করলে আপনার ইমেইলে একটি লিঙ্ক যাবে সেটা ভেরিফাই করলেই সব কাজ কমপ্লিট। (কখনও কখনও কোড ভেরিফিকেশন চাইতে পারে, সেখেত্রে আপনার মেইলে আপনি কোডটি পাবেন)
  • ভেরিভাই হয়ে গেলে আপনার মেইলে SSL কোড চলে আসবে। তখন কোডটি আপনার cPanel থেকে Install SSL এ গিয়ে বসিয়ে দিলেই চলবে।
  • আপনার ওয়েব সাইট এখন SSL সার্টিফিকেট “Green Signal” শো করবে।
  • তবে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন। যখন আপনি SSL ইনস্টল করবেন তারপর পর http:// অবশ্যই https:// এ রিডাইরেক্ট করে দিবেন। তাহলে কাজ হয়ে যাবে।

✔️ কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস

আপনার সাইটে বা আপনার সিপ্যানেল থেকে SSL ইন্সটল দেবার পর মুলত আপনার সাইট HTTPS দিয়ে ভিজিট করলেও সাইট চলে আসবে। তবে। HTTP দিয়ে কেউ ভিজিট করলে HTTPS ছাড়াই লোড হবে। অর্থাৎ আপনার সেটআপ তাহলে এখন কমপ্লিট হয় নাই। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই সাইট HTTP থেকে HTTPS এ রিডাইরেক্ট করে দিতে হবে।

সব কিছু কমপ্লিট হবার পরও হয়তো দেখতেছেন আপনার সাইটে গ্রিন লক এর জায়গায় হলুদ কালারের নোফিফিকেশন/ওয়ার্নিং আসতেছে। এবং ক্রম দিয়ে ভিজিট করলে আগের মতই নট সিকিউর দেখাচ্ছে। ের কারন হচ্ছে আপনার সাইটে ফাইল বা স্ক্রিপ্ট HTTPS ছাড়া লোড হচ্ছে। যার কারনে এমন হচ্ছে। SSL এর শর্ত হচ্ছে আপনার সাইটে সব কিছুই সিকিউর কানেকশন থেকে লোড হতে হবে।

সমাধানঃ ১ নং ও ২ নং এর ক্ষেত্রে করনীয়, আপনার সাইট যদি ওয়ার্ডপ্রেস হয় তবে জাস্ট একটা প্লাগইন ইন্সটল করে দিলেই কাজ হয়ে যাবে। রিডাইরেক্ট বা লিঙ্ক এডিট করে করে চেঞ্জ করা এসব কিছুই করতে হবে না। htaccess ফাইলেও কোন কাজ করতে হবে না। যা করার আপনার এই প্লাগইন ই করে দেবে। প্লাগইনটি পাবেন এখানে যদি আপনার সাইট HTML বা অন্য প্লাটফর্মে হয় তাহলে কি করবেন? তার জন্যেও সমাধান আছে। এই জন্যে আপনাকে .htaccess ফাইলে কিছু কোড এড করতে হবে এবং .htaccess এর মাধ্যমে রিডাইরেক্ট করে দিতে হবে।

✔️ SSL এর নেগেটিভ দিকঃ

SSL নিয়ে অনেক বড় বড় গল্প দিলাম। তার মানে কি এসএসএল সার্টিফিকেট এর কোন নেগেটিভ দিক নাই? SSL এর এত এত সুবিধা থাকার পরেও দেখা যায় অনেক বড় বড় সাইট SSL ব্যাবহার করে না। যেমন BBC, Huffington Post এর মতন এত বড় সাইটেও SSL নাই। তারা কি আদ্যেও এইটার সুবিধা সম্পর্কে জানে না? আসলে এত সুবিধা থাকার পরেও SSL এ বেশ কিছু ডিসএডভান্টেস আছে। এক্সট্রা খরচ অবশ্যই একটা ডিসএডভান্টেজ। যার SSL এর কোন দরকার নাই, সেও কেন এই এক্সট্রা খরচ বহন করবে? আর একটা বড় ডিসএডভান্টেজ হচ্ছে পার্ফমেন্স। কারন SSL ওয়ালা সাইটের ক্ষেত্রে সার্ভার থেকে ব্রাওজারে যে ইনফর্মেশন পাঠায় তা এনক্রিপ্টেড অবস্থায় পাঠায়। এতে সার্ভারে নন এসএসএল সাইটের তুলনায় এক্সট্রা রিসোর্স ব্যাবহার হয়। পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন যখন সাইটে অনেক ভিজিটর আসবে। আবার সার্ভার থেকে ব্রাওজারে ডাটা পাঠানো হয় এনক্রিপ্টেড অবস্থায়। ব্রাওজারে অথেন্টিকেশন কনফার্ম হবার পর ডাটা ডিক্রিপ্ট হয়। এই প্রসেসে কিছুটা সময় লাগে। ফলে সাইট স্বাভাবিক সাইটের তুলায় স্লো হয়। কিছু ক্ষেত্রে SSL সাইটে ঠিক মত কনফিগার করা না হলে সাইট অনেক স্লো হয়ে পরে।

✍️Shahriar Abrar Himel

এরকম আরও ইনফরমেটিভ ব্লগ পেতে Stack Learner এর ব্লগ ওয়েবসাইটকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। Stack Learner এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

stacklearner.com