আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) কি? IP Address কিভাবে কাজ করে?

আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) কি? IP Address কিভাবে কাজ করে?

IP address কি | আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায়

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোটামোটি সবাই IP (Internet Protocol) Address সম্পর্কে জানে এবং দেখেছে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) সম্পর্কে জানে না।

আজ তাদের নিয়েই আমার এ আর্টিকেল লিখা। তাহলে চলুন প্রথমেই জেনে নেই IP Address কী?

IP (Internet Protocol) Address কি?

IP এর পূর্ণ রূপ হলো – Internet Protocol. ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কে অবস্থিত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি অনন্য বা অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস বা আইডেন্টিটি থাকে। এ অ্যাড্রেস বা আইডেন্টিকে আইপি(IP) এড্রেস বলে।আইপি অ্যাড্রেসের দুটি অংশ রয়েছে।যথাঃ

  • নেটওয়ার্ক অংশ এবং

  • হোস্ট অংশ।

প্রতিটি প্রতিটি হোস্টকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি হোস্টের আবার একটি করে ফিজিক্যাল এড্রেস থাকে যাকে ম্যাক এড্রেস বলা হয়। এটি ডিভাইস তৈরিকারক কোম্পানি ঠিক করে দেয়। তাছাড়াও প্রতিটি হোস্টের আবার একটি করে লজিক্যাল অ্যাড্রেস প্রয়োজন হয়। এই লজিক্যাল অ্যাড্রেসকে বলা হয় ইন্টারনেট প্রটোকল আইপি অ্যাড্রেস।

আইপি অ্যাড্রেস ব্যতীত কোন হোস্ট বা কম্পিউটার ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে পারে না। অর্থাৎ নেটওয়ার্কে প্রতিটি কম্পিউটার একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য আইপি এড্রেসের প্রয়োজন।

আইপি এড্রেস কত প্রকার ও কি কি | Types of IP addresses

ইন্টারনেটের মধ্যে প্রত্যেকটা ব্যবহারকারীকে এককভাবে চিহ্নিত করার জন্য মূলত এই আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই আপনি যখনি ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবেন ঠিক তখনই আপনার আইপি অ্যাড্রেস এর প্রয়োজন পড়বে।

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে আইপি এড্রেস কি।

সেই কারণে এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আইপি এড্রেস কত প্রকার এবং এই প্রকারভেদ গুলো কি কি।

ইন্টারনেট এর প্রটোকলের উপর নির্ভর করে মূলত আইপি অ্যাড্রেস কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথাঃ

  1. প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস

  2. পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস

তো এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোর নাম জানলেই হবে না বরং এগুলোর কাজ কি এবং কেন এই আইপি আইপি এড্রেস গুলো কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

চলুন সে সম্পর্কে একটু ধারনা নেয়া যাক।

পাবলিক আইপি এড্রেস কি ?

What public IP address in bengali ? ইন্টারনেট থেকে সরাসরি এক্সেস দেওয়া আইপি কেই বলা হয়ে থাকে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস।

মূলত এর মাধ্যমে কম্পিউটার ডিভাইস গুলো সরাসরি ইন্টারনেট এর এক্সেস নিতে সক্ষম হয়ে থাকে।

তাই এটা সহজভাবে বলা যায় যে যেসব আইপি অ্যাড্রেস প্রাইভেট এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত নয় সেগুলোকেই বলা হয় পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস।

সচরাচর এই আইপি গুলো সার্বজনীন হয়ে থাকে তাই যেকোনো ব্যক্তি এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোকে ব্যবহার করতে পারবে।

প্রাইভেট আইপি এড্রেস কাকে বলে ?

সচরাচর নিজস্ব বাড়ি অফিস-আদালত কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস গুলোকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটি ব্যক্তিগত IP address হল একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল ঠিকানা যা একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত।

আইপি অ্যাড্রেসের সিংহভাগই সর্বজনীন এবং সেগুলি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন কম্পিউটারে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের দ্বারা বরাদ্দ করতে হবে।

যখন নিজস্ব কোন কাজের জন্য বিভিন্ন ডিভাইস এর নেটওয়ার্ক গুলোকে একটি আইপি এর মধ্যে কানেক্টেড করা হয় তখন সেই কানেক্টেড করা আইডি কেই বলা হয় প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস।

Different Kind Of IP Address

বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য এবং কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে আইপি অ্যাড্রেস কি মূলত আরও তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. Unicast IP Address

  2. Multicast IP Address

  3. Broadcast IP Address

বর্তমান সময় অব্দি আপনি মূলত এই তিন ধরনের আইপি এড্রেস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চলুন এবার সংক্ষিপ্ত আকারে এই তিন ধরনের আইপি অ্যাড্রেস এর কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

Unicast IP Address কাকে বলে ?

ইউনিকাস্ট এর মাধ্যমে মূলত একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হোস্ট সম্পর্কে এককভাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

আর সেই একক গোষ্ঠী হতে পারে আপনি অথবা আমি অথবা অন্য কেউ।

যখন আপনি মূলত কোন পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট কমিউনিকেশন করবেন তখন এই ধরনের আইপি এড্রেস গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইউনিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস হল ইন্টারনেট প্রোটোকল বা আইপি অ্যাড্রেস যা একটি একক ডিভাইসে বরাদ্দ করা হয়।

এগুলি আপনার হোম নেটওয়ার্কের মধ্যে ব্যবহার করা হয় না তবে তারা সমগ্র বিশ্বের ইন্টারনেট জুড়ে কাজ করে ৷

এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি একক কম্পিউটার এবং বাকি বিশ্বব্যাপী ওয়েবের মধ্যে যোগাযোগের একটি বিন্দু প্রদান করে ৷

Multicast IP Address কাকে বলে ?

মূলত যখন কোন গ্রুপ কমিউনিকেশন করা হয়ে থাকে তখন এই ধরনের কমিউনিকেশন কে ডিটেক্ট করার জন্য মাল্টিকাস্ট অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণে একে one To many মাল্টিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস বলা হয়ে থাকে।

অন্যভাবে বলা যায়, মাল্টিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসগুলি ইউনিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসের মতো সেগুলি একাধিক গন্তব্যের দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রতিটি গন্তব্যের জন্য একটি পৃথক যোগাযোগ চ্যানেল ব্যবহার না করে একই সময়ে একটি নেটওয়ার্কের একাধিক হোস্টে একটি হোস্ট থেকে তথ্য পাঠাতে এগুলি ব্যবহার করা হয়।

Broadcast IP Address কাকে বলে ?

ব্রডকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসকে বলা হয়ে থাকে পয়েন্ট টু অল কমিউনিকেশন।

কারণ এই ধরনের আইপি এড্রেস গুলো বিভিন্ন হোস্ট এর ডাটা গুলো প্যাকেজ আকারে ডিটেক্ট করতে পারে।

যেখানে একসাথে অনেক ব্যবহারকারীর পরিচয় বহন করে থাকে।

ব্রডকাস্ট আইপি ঠিকানাগুলি একই সময়ে সমস্ত সংযুক্ত ডিভাইসে তথ্য প্রেরণ করতে নেটওয়ার্ক দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

বাধা বা বিলম্ব ছাড়াই এটি করতে তারা একটি বিশেষ ধরনের আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে যাকে Broadcast IP Address বলা হয়।

Broadcast IP Address গুলি যেভাবে কাজ করে তা হল যে যখন একটি ব্রডকাস্ট আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো হয়।

তখন এটি সেই নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের প্রতিটি অন্য ডিভাইস দ্বারা গ্রহণ করা হবে।

এর মানে হল যে যদি কোনও সংস্থার একাধিক সেগমেন্ট নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যারের সাথে সংযুক্ত থাকে।

যেমন সুইচ এবং রাউটার ব্রডকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে প্রেরিত যে কোনও ডেটা সেই সেগমেন্টগুলির প্রতিটিতে গৃহীত হবে।

কিভাবে IP address কাজ করে ?

একটি আইপি অ্যাড্রেস এর মূল কাজ হলো কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইসের মধ্যে থাকা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক কে অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস এর সাথে সংযুক্ত করা।

যেমন ধরুন আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেন।

এখন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার উক্ত সাইটের বিভিন্ন ডেটা এবং ইনফরমেশন কে এক্সেস করার প্রয়োজন হবে।

সে ক্ষেত্রে আপনার ফ্রি কম্পিউটার ডিভাইস টি আইপি সার্ভার এর সাথে কানেক্টেড হতে হবে।

আর আপনার কম্পিউটার কে কোনো একটি সার্ভারের সাথে কানেক্টেড করার কাজটি করে থাকে আইপি অ্যাড্রেস।

এই আইপি এড্রেস গুলো মূলত কোনটির লোকাল কম্পিউটার ডিভাইস কে একটি সাধারণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য বাকি সব কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে থাকে।

কারণ এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোর মাধ্যমে মূলত একটি সাধারণ নেটওয়ার্কে সক্রিয় করা হয়। যার ফলে একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটি ডিভাইস কে খুঁজে পাওয়া যায়।

আমরা IP (Internet Protocol) Address ব্যবহার করি কেন?

আইপি অ্যাড্রেস (Internet Protocol) একটি সাংখ্যিক লেবেল। এটি একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য নির্ধারিত হয়। Network এর মাধ্যমে প্রতিটি কম্পিউটার যোগাযোগ করার জন্য Internet Protocol (IP) Address ব্যবহৃত হয়।

এক কথায় বলা যায় IP Address হল একটি Network এর Node বা Host সংযোগ এর Logical Identifier. IP Network এ প্রতিটি Host কে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা করা হয়।এই নাম্বারই হচ্ছে IP (Internet Protocol). IP(Internet Protocol) 32 Bit এর হয়।একে ৮ Bit করে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় ।

আইপি অ্যাড্রেস এর (Internet Protocol) শ্রেণীবিভাগ:

ভার্সন অনুসারে আইপি অ্যাড্রেসকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:-

  • IPv4 (আইপি ভার্সন ৪)

  • IPv6 (আইপি ভর্সন ৬)

IPv4 (আইপি ভার্সন ৪)

IPv4 এর পূর্ণ রূপ হলো Internet Protocol Version 4 . অর্থাৎ এটি হলো Internet Protocol এর ৪র্থ সংস্করণ। Standard Internetworking পদ্ধতির মূল প্রোটকল হলো এই IPv4।

আইপি ভার্সন ৪ বা IPv4 এর সর্ব প্রথম সংস্করনের জন্য ১৯৮৩ সালে ARPANET(Advanced Research Projects Agency Network ) কর্তৃক এটি তৈরি করা হয়। এটি ৩২ বিট এর অ্যাড্রেস স্পেস। এর মাধ্যমে মিনিমাম ৫ বিলিয়ন অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। আইপি ভার্সন 4 কে 4 টি অকটেড এ ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে আবার ৮টি করে বিট রয়েছে।

নেটওয়ার্ক গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী IPv4 এখন প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। বর্তমানে আমরা আমাদের ফোন ও কম্পিউটারে যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি সেগুলো হলো IPv4 এর নেটওয়ার্ক। যেমন –

IPv4 Addressing

IP Address

Bits

Prefix

Subnet Mask

8

3

/29

255.255.255.248

16

4

/28

255.255.255.240

32

5

/27

255.255.255.224

64

6

/26

255.255.255.192

128

7

/25

255.255.255.128

IPv6 (আইপি ভর্সন ৬)

Internet Assigned Numbers Authority (IANA) আইপি অ্যাড্রেসের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করেন। যার নাম IPv6. IPv6 এর পূর্ণ রূপ হলো- Internet Protocol Version 6

IPv6 ১২৮ বিটের একটি স্পেস। এটি প্রায় 340 Undecillion (Undecillion হলো ৩৪০ এর পর আরো ৩৬ টি ০) অ্যাড্রেস প্রধান করে।বর্তমানে অনেক জায়গায় IPv6 এর ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। IPv4 ভার্সন থেকে IPv6 ভার্সনে রুপান্তরের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেটে উভয় Protocol ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কাজটি সহজ করার জন্য Internet Engineering Task Force (IETF) কয়েকটি সিস্টেম তৈরি করেছে।এগুলো হলো-

  • Dual Stack

  • Tunneling

  • Translation

Dual Stack

যে পদ্ধতিতে কোন একটি নেটওয়ার্কে একই সাথে IPv4 ও IPv6 Protocol ব্যবহার করা যায় তাকে Dual Stack বলা হয়।

Tunneling

যে পদ্ধতিতে IPv4 নেটওয়ার্কের ভিতর দিয়ে IPv6 এর প্যাকেটসমূহ চলাচল করতে পারে তাকে Tunneling বলে।

Translation

এ পদ্ধতিতে একটি IPv4 ও IPv6 Protocol যুক্ত ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য NAT64 নামক একটি Translation পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

NAT64 এ IPv4 এ্যাড্রেস থেকে IPv6 এ্যাড্রেসে এবং একটি IPv6 এ্যাড্রেস থেকে IPv4 এ্যাড্রেসে প্যাকেটসমূহকে Translate করা হয়।

Class or Type of IP

ক্লাস অনুযায়ী আইপি অ্যাড্রেসকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয় । এবং প্রত্যেক ক্লাস এর একটি রেঞ্জ রয়েছে। যথা:-

  • Class A ( ক্লাস এ )

  • Class B ( ক্লাস বি )

  • Class C ( ক্লাস সি )

  • Class D ( ক্লাস ডি )

  • Class E ( ক্লাস ই )

Class Name

IP Range

A

0-127

B

128-191

C

192-223

D

224-239

E

241-250

Class of IP

চলুন এবার জেনে নেই , IP এর ক্লাস গুলো কীভাবে কাজ করে।

Class A

যেসব IP Address এর প্রথম Bit বাইনারি 0 থেকে শুরু হয় সেগুলো হচ্ছে Class A এর IP.নেটওয়ার্ক Bit যদি Host Bit এর তুলনায় কম হয় তাহলে সেটা Class A এর IP Address . Class A আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম অকটেডটি হল নেটওয়ার্কের জন্য এবং শেষ ৩টি অকটেড হল হোস্ট এর জন্য ।

মোটকথা প্রথম ৮টি বিট হল নেটওয়ার্কের জন্য এবং শেষের ২৪টি বিট হল হোস্টের জন্য।Class A IP শুরু হয় 0.0.0.0 থেকে 127.255.255.255 পর্যন্ত এবং শেষ হয় 127 এ গিয়ে ।

Network

Host

Host

Host

8 Bit

8 Bit

8 Bit

8 Bit

এই Class A আইপি অ্যাড্রেস শুরু হয় 0.0.0.0 থেকে 127.255.255.255 পর্যন্ত। আমাদের নেটওয়ার্কে অনেক বেশি পরিমান হোস্টের প্রয়োজন পড়লে আমরা Class A এর আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারি। যেমন -10.0.0.1 থেকে 126.255.255.254

Class B

Class B আইপি অ্যাড্রেস শুরু হয় 128.0.0.0 থেকে এবং এটি 191.255.255.255 পর্যন্ত যেয়ে শেষ। এই Class B IP Address এর প্রথম দুটি বিটের মান হবে 10. এর প্রথম ১৬ টি বিট হলো নেটওয়ার্ক বিট এবং বাকি ১৬ টি বিট হলো হোস্ট বিট।

যখন নেটওয়ার্কে নেটওয়ার্ক ও হোস্টের সংখ্যা সমান দরকার তখন চাইলে আমরা Class B এর আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারি ।

Network

Host

Host

Host

8 Bit

8 Bit

8 Bit

8 Bit

নেটওয়ার্ক Bit সংখ্যা এবং Host সংখ্যা প্রায় সমপরিমাণ হয় তাহলে ধরে নিতে হবে এটি Class B এর IP Address.

যেমন- 128.1.0.1 থেকে 191.255.255.254

Class C

নেটওয়ার্ক Bit সংখ্যা Host সংখ্যার তুলনায় বেশি হলে Class C এর আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) সিলেক্ট করতে হবে। Class C এর শুরু হয় 192.0.0.0 থেকে এবং শেষে হয় 223.255.255.255 পর্যন্ত। এর প্রথম ২৪টি বিট ব্যবহার করা হয় নেটওয়ার্ক এর জন্য এবং শেষের ৮টি বিট ব্যবহার করা হয় হোস্ট এর জন্য । যখন আমরদের নেটওয়ার্কে নেটওয়ার্ক এর পরিমান বেশি এবং হোস্ট এর পরিমান কম দরকার সেখানে Class C এর আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারি ।

Network

Host

Host

Host

8 Bit

8 Bit

8 Bit

8 Bit

Class C এর IP শুরু হয় 192 থেকে আর শেষ হয় 223 এ গিয়ে।

এই IP Address এর প্রথম ৩ টি Bit এর মান হবে 110. এই ধরনের IP এর ক্ষেত্রে 24 Bit Network আর 8 Bit Host.

যদি নেটওয়ার্ক Bit এর সংখ্যা Host এর তুলনায় বেশি হয় তাহলে Class C এর IP Address সিলেক্ট করতে হবে।

উদাহরণঃ 192.0.1.1 থেকে 223.255.254.254

Class D

Class D একটি বিশেষ শ্রেণির আইপি অ্যাড্রেস। এর রেঞ্জ হল 224.0.0.0 থেকে 239.255.255.255 পর্যন্ত। Class D এর আইপি অ্যাড্রেস সবার জন্য উন্মুক্ত না । এই নেটওয়ার্ক এর আইপি অ্যাড্রেস Multicast Group এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

এটি বিশেষ ধরনের IP Class যাকে Multicast Network বলা হয়। কোন Host Network এর সকল Router কে খুঁজে বের করার জন্য এই ধরনের IP ব্যবহার করা হয় ।

এই Class এর IP 224 থেকে 239 পর্যন্ত হয়ে থাকে।

উদাহরণঃ 224.0.0.0 থেকে 239.255.255.255

Class E

Class E ( ক্লাস ই ): আইপি অ্যাড্রেস / IP address এর 240.0.0.0 থেকে 255.255.255.255 পর্যন্ত রেঞ্জকে বলা হয় Class E ।

এই রেঞ্জ এর আইপি অ্যাড্রেস সাধারণত বৈঙ্গানিক গবেষনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে 255.255.255.255 আইপি অ্যাড্রেসটি ব্রডকাষ্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয়। Class E এর IP গুলো সাধারনত গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, Class E তে IP 240 থেকে শুরু হয়ে 255 তে গিয়ে শেষ হয়।

উদাহরণঃ 240.0.0.0 থেকে 254.255.255.254

এছাড়াও আইপি অ্যাড্রেসকে আরো দুই ভাগে যথা:-

  • প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস (Private IP Address)

  • পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস (Public IP Address)

প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস (Private IP Address): যে সকল আইপি অ্যাড্রেস নন রাউটেবল অর্থৎ যে সকল আইপি অ্যাড্রেসকে ইন্টারনেট দ্বারা অ্যাকসেস করা যায় না তাকে বলে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস। প্রত্যেক ক্লাস এ কিছু প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে নিন্মে এগুলির রেঞ্জ উল্লেখ করা হল। Class A এর ক্ষেত্রে এর রেঞ্জ হল 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত।Class B এর ক্ষেত্রে এর রেঞ্জ হল 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত।Class C এর ক্ষেত্রে এর রেঞ্জ হল 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত। পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস ( Public IP Address): যে সকল আইপি অ্যাড্রেসকে ইন্টারনেট দ্বার অকসেস করা যায় সে সকল আইপি অ্যড্রেসকে পাবলিক আইপি অ্যড্রেস বলা হয়। প্রাইভেট আইাপি ছাড়া সকল আইপি অ্যাড্রেকে পাবলিক আইপি বলে ।

Ip address কিভাবে বের করবো ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, IP address কি এবং IP Address কত প্রকার ও কি কি

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, Ip address কিভাবে বের করবো।

তো যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে নিচের আলোচনার দিকে চোখ রাখুন ৷

  1. যদি আপনি আপনার নিজের আইপি এড্রেস বের করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি Web Browser চালু করতে হবে।

  2. এরপর আপনাকে গুগলে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে সার্চ করতে হবে ” What is my IP”.

যদি আপনি উপরের ধাপ দুটি সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারেন৷ তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার নিজের IP Address বের করে নিতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি সেই আইপির কোনো তথ্য জানার চেস্টা করেন। তাহলে আপনাকে নিজের ধাপ গুলো অনুসরন করতে হবে।

  1. প্রথমত আপনার ডিভাইস থেকে একটি Web Browser চালু করতে হবে। এরপর আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

  2. আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করেও উক্ত সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

তো যদি আপনি উপরোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন ৷ তবে আপনি খুব সহজেই আপনার IP রিলেটেড যাবতীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।

যেমন, আপনার আইপি এড্রেস কি, আপনি কোন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, আপনার দেশ ও স্থানের নাম কি ইত্যাদি ইত্যাদি।

উপরে আমি নিজের আইপি এড্রেস বের করার ২ টি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে আপনি যদি সেগুলো বুঝতে না পারেন।

তবে আপনার জন্য আরো অনেক উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার Personal IP Address কে খুজে নিতে পারবেন ৷

তো আপনি যদি internet search করে আইপি এড্রেস খুজে নিতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে হবে।

আপনার সুবিধার জন্য আমি সেই সবগুলো ওয়েবসাইট এর লিস্ট নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

যে সাইট গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইন্টারনেট সার্চ করে IP Address খুজে নিতে পারবেন। যেমনঃ

  1. Google : আপনি সরাসরি গুগলে গিয়ে শুধু “My ip”- লিখে সার্চ করবেন। আর সাথে সাথে আপনি আপনার নিজের আইপি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন ৷

  2. Whatismyipaddress: এটি হলো আইপি সংক্রান্ত এমন একটি ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি মূলত Ipv4 এর পাশাপাশি IPv6 এর সকল ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

  3. whatismyip: উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি অটোমেটিক আপনার IPv4 Network টি জানতে পারবেন ৷

  4. এর সাথে আপনার লোকেশন এবং আপনি কোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত আছেন। সেই কোম্পানির নাম জানতে পারবেন।

  5. iplocation: এই সাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের আইপি এবং আইপি এড্রেস এর লোকেশন জানতে পারবেন ৷

উপরে আমি যেসব ওয়েবসাইট কে ম্যানশন করেছি। সেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই internet search এর মাধ্যমে IP Address রিলেটেড যাবতীয় বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন ৷

Ip address দিয়ে কি করা যায় ?

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে আপনি IP address কি তা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তো এবার এই বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, Ip Address দিয়ে কি করা যায়। তো চলুন এবার সে বিষয়ে ধারনা নেয়া যাক।

  1. আপনি নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। মনে করুন আপনি ঢাকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। তাহলে আপনি সেই লোকেশন টি দেখতে পারবেন ৷

  2. আপনি কোনো একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে মোট কি পরিমান দুরত্বে অবস্থান করে আছেন। সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

  3. এর পাশাপাশি কোনো একটি স্থান থেকে আরেকটি স্থানে যেতে কি পরিমান সময় লাগবে। সে সম্পর্কে জানতে পারবেন ৷

  4. আপনি বর্তমানে কোন কোম্পানির নেট কানেকশন ব্যবহার করছেন। সেই কোম্পানির নাম জানতে পারবেন।

তো এইগুলো মূলত আইপি এড্রেস এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। আর সে কারনেই পুলিশ অপরাধীদের ধরার জন্য এই IP Address কে ব্যবহার করে থাকে।

Ip address কি নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রযুক্তির এই যুগে বসবাসরত প্রত্যেকটা মানুষের যেমন টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত।

ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের মধ্যে আইপি এড্রেস কি সে সম্পর্কেও ধারনা থাকা উচিত। আর সেই কারনে মূলত আজকের আর্টিকেলে আমি IP address কি তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল টি থেকে আপনি Internet Protocol সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।

আর পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।