What is a Domain? How many types of Domain?

What is a Domain? How many types of Domain?

✔️ ডোমেইন কি ?

Domain name বা DNS (Domain naming system) এমন একটি নামকরণ যার দ্বারা আমরা ইন্টারনেটের এই বিশাল দুনিয়াতে যেকোনো একটি ওয়েবসাইটকে সনাক্ত (identify) করতে পারি। ইন্টারনেটে থাকা সব ধরণের ওয়েবসাইট, একটি IP Address এর সাথে সংযুক্ত (connected) থাকে।

এবং, এই IP address (Internet Protocol Address) এমন একটি সাংখ্যিক ঠিকানা, যে আপনার ব্যবহার করা ইন্টারনেট ব্রউজারকে (Internet browser) বলেন যে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের কোন সার্ভার (server) এবং জায়গায় (location) হোস্ট করা আছে।

এখন, যখনি আমরা আমাদের ওয়েব ব্রাউজারে (web browser) কোনো ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম লিখে সার্চ (search) করি, তখন সেই ডোমেইন নেম ওয়েবসাইটের সার্ভারের (server) আসল IP address কে পয়েন্ট (point) করেন।

এবং, ওয়েবসাইটের আসল IP address দ্বারাই আমাদের ইন্টারনেট ব্রাউজার (Chrome, Firefox, Opera, Internet Explorer) সেই ওয়েবসাইটের আসল ঠিকানা খুঁজে পান যেখানে ওয়েবসাইটটি হোস্ট করা আছে।

ফলে, আমরা আমাদের ওয়েব ব্রাউজারে সার্চ করা ডোমেইন নামের সাথে সংযুক্ত (connected) ওয়েবসাইটটিকে দেখতে পাই এবং তাকে ব্যবহার করতে পারি।

এমনিতে, আমরা ডোমেইন নেম ব্যবহার না করে, যেকোনো ওয়েবসাইটের direct Ip address ওয়েব ব্রাউজারের URL বক্সে লিখে সার্চ করলেও সেই ওয়েবসাইট ভিসিট (visit) করতে পারবো। সব ওয়েবসাইটের একটি IP address অবশই রয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপে : Google.com ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম হলো “Google.com” এবং এর IP address “172.217.168.238”

ডোমেইন নাম এবং IP address, দুটোই ব্যবহার করে আপনারা গুগলের ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন।

কিন্তু, আপনার এবং আমার জন্য কি সম্ভব, এতো এতো ওয়েবসাইটের নাম কেবল কিছু সংখ্যার মাধ্যমে মনে রাখা ? সাধারণ লোকেদের জন্য এইটা কখনোই সম্ভব না।

Ip address বা সাংখ্যিক এড্ড্রেসের দ্বারা ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখার এই জটিল প্রক্রিয়াকে সরল করার জন্যই, শব্দ এবং বাক্যর দ্বারা গঠিত “ডোমেইন নেম” ব্যবহার করা হয়।

এতে, অনেক সহজেই আমরা যেকোনো ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখতে পারি।

✔️ ডোমেইন কি তা সম্পর্কে আরো একটু জেনে নেয়া যাক

একটি ওয়েবসাইট এর সকল ফাইল একটি সার্ভার (কম্পিউটার) এ থাকে। প্রত্যেক সার্ভার এর একটি নির্দিষ্ট IP Address (Internet Protocol Address) থাকে। যার মাধ্যমে ঐ সার্ভারকে ইন্টারনেট এ খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন আমাদের ওয়েবসাইট এর সার্ভার এর IP Address : 10.11.134.47 কিন্তু এভাবে তো আর সব ওয়েবসাইট এর IP Address মনে রাখা সম্ভব না। এই সমস্যা দূর করে দেয় Domain ।

একটা Domain এর জন্য IP Address সেট করা থাকে। ফলে সেই Domain লোড করলে ঐ ওয়েবসাইট লোড হয়।shahriyarabrarhimel.xyz এটা হচ্ছে আমার ওয়েবসাইট এর Domain । এটা লোড করলেই আমাদের ওয়েবসাইট লোড হবে।

প্রত্যেকটি Domain প্রধানত ২টি অংশ নিয়ে গঠিত। একটি হচ্ছে Domain Name এবং আরেকটি Domain Suffixshahriyarabrarhimel.xyz এই ডোমেইন এর (shahriyarabrarhimel) হচ্ছে Domain Name এবং (.xyz) হচ্ছে Domain Suffix ।

Domain Name এ সর্বনিম্ন ৩ টি অক্ষর থাকতে হবে আর সর্বোচ্চ ৬৩ টি অক্ষর থাকতে পারবে। শুধু ইংরেজি অক্ষর, ০-৯ পর্যন্ত সংখ্যা আর “-” (Hyphen) Domain Name এর ভিতর ব্যাবহার করা যাবে।

✔️ ডোমেইন নেম কিভাবে কাজ করে ?

প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট একটি web server এ হোস্ট (host) বা স্টোর (store) করা থাকে। এবং, একটি Domain সেই ওয়েবসাইটের সার্ভারের IP address বা স্যংখ্যিক ঠিকানাকে পয়েন্ট (point) করতে থাকে।

এতে, যখনি আমরা ওয়েবসাইটের নাম আমাদের ওয়েব ব্রাউজারে টাইপ করে সার্চ করি, তখন ডোমেইন নামের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি তার server এর IP address কে পয়েন্ট করে। এবং ফলে, ওয়েব ব্রাউজারে, ডোমেইনের দ্বারা সার্চ করা ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাওয়া যায়।

শেষে, একটি ডোমেইন নেম হলো, Ip address বা সাংখ্যিক ঠিকানার তুলনায়, যেকোনো ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়ার অনেক সহজ এবং সরল নাম।

এবং, এই নাম কিছু বাক্য বা শব্দ ব্যবহার করে রাখা হয় যাতে সহজেই মনে রাখা যায়।

তাহলে, ডোমেইন নেম কাকে বলে, ডোমেইনের কাজ কি এবং ডোমেইন কিভাবে কাজ করে, সেটা হয়তো আপনারা ভালো করেই বুঝে গেছেন।

✔️ ডোমেইনের প্রকার

দেখুন অন্যান্য বিষয়ের মতো ডোমেইনকে ২ প্রকার বা ৩ প্রকার এভাবে ভাগ করা সম্ভব নয় ৷ কিন্তু এরপরও ব্যবহারগত দিক থেকে ডোমেইনকে ৪ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যেমন,

  • TLD Domain
  • gTLD Domain
  • SLD Domain
  • ccTLD Domain

দেখতে গেলে ডোমেইন নামের প্রকার অনেক রয়েছে। নিচে, আমি আপনাদের সেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডোমেইনের প্রকারের ব্যাপারে বলবো। এতে, যখনি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য domain কেনার কথা ভাববেন, তখন একটি সঠিক ডোমেইনের বাছাই করতে পারবেন।

১. TLD – Top Level Domains

Top level domain (TLD) বা internet domain extension এর মধ্যে সব থেকে বেশি মান (value) থাকা domain extension. এই ডোমেইন নেম গুলি সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। একটি সম্পূর্ণ ডোমেইন নামের একেবারে শেষের অংশটি হলো এইটা। ডট (dot) লেখার পরের ভাগ।

উদাহরণ স্বরূপে : যদি আমি আমার ব্লগের ডোমেইন নামের কথা বলি তাহলে, shahriar.info আমার ডোমেইন নাম এবং ডটের (.) পরের “Info” শব্দটি হলো আমার top level domain extension.

একটি, ওয়েবসাইট বা ব্লগে, আপনি যদি এই top level domain গুলি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের রেপুটেশন (reputation) ভিসিটর্স এবং গুগল দুজনের নজরেই ভালো হয়ে দাঁড়াবে। এবং, এতে আপনার লাভ হবে।

TLD বা টপ লেভেল ডোমেইন গুলিকে, SEO Friendly domain বলা হয়। কারণ, এই ক্যাটেগরির (category) domain extension থাকা ওয়েবসাইটকে google search engine অনেক গুরুত্ব দেন।

তাই, আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানানোর কথা ভাবছেন, তাহলে এই ধরণের Top Level Domain ব্যবহার করাটাই ভালো এবং লাভজনক হবে।

কিছু TLD বা Top Level Domain extension এর উদাহরণ (Example)

  • (.Com ) (commercial)
  • (.Org ) (Organization)
  • (.Net ) (Network)
  • (.gov ) (Government)
  • (.edu ) (Education)
  • (.biz ) (Business)
  • (.info ) (Information)

এই ধরণের domain extension যে কেউ কিছু টাকা দিয়ে বিভিন্ন domain কেনার website থেকে কিনে নিতে পারবেন।

২. CcTLD – Country Code Top Level Domain

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ যদি কোনো বিশেষ দেশ (country) কে টার্গেট (target) করে বানানো হয়েছে, তাহলে এই ধরণের CcTLD domain extensions ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরণের ডোমেইন এক্সটেনশন কোনো দেশের Two letter ISO code এর ওপরে নামকরণ করা হয়।

Country code top level ডোমেইনের কিছু উদাহরণ

  • (.Us ) (United States)
  • (.In ) (India)
  • (.Bd ) (Bangladesh)
  • (.Cn ) (China)
  • (.Us ) (United states of America)
  • (.Ro ) (Romania)

এবং, আরো অনেক এমন ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে, যেগুলি কেবল একটি দেশকে টার্গেট করে নামকরণ করা হয়েছে।

3. gTLD - Generic Top Level Domain.

যখন কোনো ডোমেইনের এক্সটেনশন, কোনো দেশকে ইন্ডিকেট করে না। সেই ডোমেইন এক্সটেনশন গুলোকে বলা হয় gTLD Domain.

এমন কিছু ডোমেইনের নাম হলো,

  • (.com)
  • (.info)
  • (.org)

    ইত্যাদি ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো হলো gTLD domain এর আওতাভুক্ত।

4. SLD - Sub Level Domain.

অর্থ্যাৎ, কোনো ডোমেইনে যেসব সাবডোমেইন যুক্ত করা হয়। সেই ডোমেইন গুলোকে বলা হয়, সাব লেভেল ডোমেইন।

যেমন,

blog.Shahriyarabrarhimel.xyz

এখানে (blog) হলো একটি সাবডোমেইন।

✔️ ডোমেইন নাম এর কিছু ব্যবহার

এখানে গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুক কে আমরা সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট মনে রাখা কষ্টসাধ্য হওয়ার কারনে ডোমেইন নাম দিয়ে সহজেই খুঁজে পাই।

ডোমেইন শুধুমাত্র .com Extension দিয়েই হবে সেরকম নয়। মূলত উদ্দেশ্য উপর ভিত্তি করে এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আশা করি নিচের উদাহরণ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। যেমনঃ

  1. সাধারন কাজ বা ব্যবসার জন্য .com (speedhost.com.bd) Extension ব্যবহার করা হয়।

  2. অরগানাইজেশনের এর জন্য .org (wvi.org) Extension ব্যবহার করা হয়।

  3. এডুকেশনাল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর জন্য .edu ( mmsc.edu.bd) Extension ব্যবহার করা হয়।

  4. গভর্নমেন্টাল-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এর জন্য .gov (bluehouse.gov) Extension ব্যবহার করা হয়।

  5. ইনফরমেশন সাইটের জন্য এর জন্য .info (bangladesh.info) Extension ব্যবহার করা হয়।

  6. নেটওয়ার্কিং সাইটের জন্য এর জন্য .net (soundtrack.net) Extension ব্যবহার করা হয়।

উপরে যেসব ডোমেইনের এর কথা বলা হয়েছে সেগুলোর সবই Top Level ডোমেইন। আপনি যদি এগুলো আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে টাকা দিয়ে Registration বা কিনতে হবে। প্রোভাইডার ভেদে ডোমেইন এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে । সাধারনত এই সব ডোমেইন এর মূল্য ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে এক বছরের জন্য। তবে যারা এক বছরের জন্য কিনে থাকেন তাদের কে ট্রেড লাইছেন্স এর মতো প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়।

এছাড়া, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাবহারকারীদের সুবিধা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের Extensions এসেছে । চাইলে Targeted Niche Select করেও নির্ধারিত Extensions নেয়া যায়। যেমন .health; .club; .fun; .cat; .design; .shop; .service ইত্যাদি।

ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার ৫২ শতাংশই .COM ডোমেইন ও অন্যান্য ডোমেইন নিয়ে বিভিন্ন Werbsite অথবা Bolg তৈরি করা হয়েছে। তার মানে হলো মানুষ সাধারণভাবেই এটি ভেবে থাকেন, যে কোন ওয়েবসাইট একটি .COM ডোমেইন Extensions দিয়ে শেষ হয়। তাই যদি আপনার সুযোগ থাকে তাহলে .COM ডোমেইন Extensions ব্যবহার করাই আপনার জন্য সঠিক হবে।পছন্দ মতো Domain Extensions নির্বাচন করতে Visit করতে পারেন।

✔️ প্রথম ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন

প্রথম বানিজ্যিক ডোমেইন নাম TLD .com , ১৫ মার্চ ১৯৮৫ সালে প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে ডট কম ডোমেন (.com Domain) নাম ক্যাম্ব্রিজের কম্পিউটার ফার্ম সিম্বোলিক্স তাদের ওয়েব সাইট Symbolics.com এ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে, ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে তারা ১৯০ মিলিয়ন ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করে।

✔️ এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কি?

যেহুতু ডোমেইন সম্পর্কে জানতে এসেছেন, সেহুতু এক্সপায়ার্ড ডোমেইন সম্পর্কেও আপনার জেনে নেয়া উচিত। কারন এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেখুন, কোনো একটা সময়ে যদি কেউ ডোমেইন কিনে থাকে। এবং সেই ডোমেইনটি নিয়ে যদি সেই ব্যাক্তি কোনো কাজ করে। এবং একটা সময় সময় যদি সেই ব্যক্তি উক্ত ডোমেইনটি আর রিনিউ না করে,তাহলে সেই ডোমেইনটিকে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন বলা হয়ে থাকে।

এই ডোমেইনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন, সেই ডোমেইনটি নিয়ে কেউ না কেউ আগে থেকেই কাজ করে রেখেছে। যার কারনে আপনি নিশ্চিন্তে সেটি কিনে নিতে পারবেন। তবে এখানে কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যেমন উক্ত ডোমেইনটিতে যদি কোনো প্রকার সমস্যা থাকে। যেমন, Google Penalty / Search engine banned /Crime /Sexual Content Published etc. সেজন্য যখন আপনি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনবেন। তখন এই বিষয় গুলো ভালোভাবে নজরে রাখবেন। যাতে পরবর্তীতে আপনার ডোমেইন নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। আপনি কেন ডোমেইন কিনবেন? এই প্রশ্নটা একটা সময় আমার মনেও জেগেছিলো। তখন আমি ভাবতাম, এতোকিছু থাকতে আমি কেন ডোমেইন কিনবো! এরপর অনেক ঘাটাঘাটি করে সেই প্রশ্নের মজার একটি উত্তর খুজে পেয়েছি। সেই মজার বিষয়টি হলো, যখন আপনি একটি নামে ডোমেইন কিনবেন। এরপরে পৃথিবীর আর কেউ সেই নামে ডোমেইন কিনতে পারবে না। সে যেই হোক না কেন। যেমন, আপনি একটি সিম কেনার পর, আপনাকে যে নম্বরটি দেয়া হবে। সেই নম্বরটি শুধুমাত্র আপনিই ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি ছাড়া সেই নম্বরটি কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ঠিক সেরকম আপনি যখন কোনো একটি নামে ডোমেইন কিনবেন। আপনার পরবর্তীতে সেই নামে কেউ আর ডোমেইন কিনতে পারবে না। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, সবকিছুই তো বুঝলাম। কিন্তুু কেন আমি ডোমেইন কিনবো? তাহলে শুনুন, ডোমেইন কেনার ভিন্ন ভিন্ন কারন রয়েছে। আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কিনতে পারবেন। আবার এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভালো ভালো ডোমেইন গুলো কিনে রাখে। যাতে পরবর্তীতে সেই ডোমেইন গুলোকে বিক্রি করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আবার কেউ কেউ শখের বশে ও ডোমেইন কিনে রাখে। আপনি যদি আপনার নিজের নামে ডোমেইন কিনে রাখেন। তাহলেও সেটা খারাপ কিছু নয়। কিভাবে ডোমেইন কিনবেন? সত্যি বলতে, এখন খুব সহজেই ডোমেইন কেনা যায়। কারন, আজকের দিনে বাংলাদেশেই এমন অনেক কোম্পানি আছে। যারা খুব স্বল্পমূল্য Domain রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে থাকে। আর দেশি কোম্পানি হওয়ার ফলে, আপনি বিকাশের মাধ্যমেই টাকা Payment করতে পারবেন। এবার চলুন এবার জেনে নেই, দেশি বিদেশি কিছু ডোমেইন প্রোভাইডার এর সাথে পরিচিত হই।

✔️ ডোমেইন কেনার দেশি ওয়েবসাইট

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো কোম্পানি আছে। যাদের কাছ থেকে আপনি ডোমেইন কিনতে পারবেন। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় Company -র নাম হলো,

  • Exonhost
  • Dianahost
  • HostarPlan

ডোমেইন কেনার কিছু বিদেশি ওয়েবসাইট এর নাম হলো,

  • Namecheap
  • Godaddy

✔️ ডোমেইন কেনার আগে মনে রাখবেন

আপনি যদি প্রথম বার ডোমেইন কেনার কথা চিন্তা করেন, তাহালে নিচের কিছু সাধারন বিষয়ে নজর দিয়ে ডোমেইন কিনতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনি বেশ কিছু অসুবিধার মুখে পড়তে পারেন।

  1. আপনারা সব সময় একটি শর্ট ডোমেইন নাম (short domain name) বেঁছে নিবেন। তাহালে মানুষরা সহজে মনে রাখতে পারবে।

  2. ডোমেইন নাম ছোট হওয়ার কারণে লিখতে এবং বলতে অনেক সহজ হয়।

  3. কখনো অন্যের সাথে মিল রেখে ডোমেইন নাম বাছায় করবেন না। সব সময় নিজের বিসনেস এর ব্র্যান্ডের সাথে মিল রেখে ডোমেইন বাছায় করবেন।

  4. লক্ষ রাখবেন আপনার বেঁছে নেওয়া ডোমেইন নামের সাথে যেন কোনো ধরনের hyphen (-) বা number (1234) না থাকে।

  5. সব সময় চেষ্টা করবেন একটি top level domain কেনার জন্য।

  6. আপনার বেঁছে নেওয়া ডোমেইন নাম ব্লগ বা ওয়েবসাইটের বিষয়ের সাথে জড়িত থাকাটা অনেক লাভজনক।

✔️ ডোমেইন রিনিউ কি?

ডোমেইন কেনার ক্ষেএে এই দুটো বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন গুরুত্বপূর্ণ এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত। কারন এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা রিনিউ করতে ঝামেলা করে ৷ অর্থ্যাৎ রিনিউ যদি বেশি টাকা চার্জ করে থাকে ৷ যা অনেকেই সেই টাকা দিয়ে রিনিউ করতে পারেনা। এর ফলে আপনি আপনার ডোমেইনের মালিকানা হারাতে পারেন। সত্যি বলতে ডোমেইনকে এককালীন টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। একটি ডোমেইন কেনার পরে, প্রতি ১ বছর পর আপনাকে পুনরায় টাকা দিতে হবে। আপনি যদি সেই টাকা না দেন, তাহলে আপনি আপনার ডোমেইন এর মালিকানা হারাবেন ৷ এখন কথা হলো, কোম্পানি ভেদে ডোমেইন এর দাম ও রিনিউ করার জন্য টাকার পরিমান একটু ভিন্ন হয়। কেউ রেগুলার প্রাইজে রিনিউ চার্জ করে, আবার কেউ ভালো সার্ভিস প্রদান করার কারনে বেশি টাকা চার্জ করে থাকে। এখন মূল বিষয় হলো, গুটিকয়েক কিছু কোম্পানি আছে। যারা মূলত ব্যবসা করার উদ্দেশ্য মার্কেটে আসেনা। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাটপারি করে মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়া। তাই যখন আপনি ডোমেইন কিনবেন। তখন তার রিনিউ করার জন্য কত টাকা দিতে হবে। সেটি আগে থেকেই জেনে নিবেন। যেন পরবর্তীতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়।

✔️ ডোমেইন ট্রেডমার্ক কি?

ডোমেইন ট্রেডমার্ক সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকতে হয়। কারন আপনি যদি কোনো ট্রেডমার্ক যুক্ত ডোমেইন কিনেন। সেক্ষেত্রে আপনার জেল বা জরিমানা হতে পারে। ট্রেডমার্ক নিয়ে আমাদের ব্লগে একটি আর্টিকেল রয়েছে চাইলে আপনি সেখান থেকে সমস্ত বিষয়গুলি পড়ে নিতে পারেন। ডোমেইন কেনার ক্ষেএে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো Trademark. যদি আপনি কোনো ট্রেডমার্ক যুক্ত ডোমেইন কিনে থাকেন। সেক্ষেএে আপনার জেল বা জরিমানা হতে পারে। এই বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ, তাই এই টপিকটা একটু মনোযোগ সহকারে দেখবেন। দেখুন,যখন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স সহো ডোমেইন কিনে নেয়। তখন সেই একই নামে আর কেউ ডোমেইন কিনতে পারবে না। কারন সেটি Trademark এর আওতায় পড়ে। যেমন ধরুন, facebook.com একটি ট্রেডমার্ক যুক্ত ডোমেইন। এখন যদি আপনি এই একই নামে কোনো ডোমেইন কেনার চেস্টা করেন।যেমন, bnfacebook.com অথবা facebookbd.com তাহলে ফেসবুক আপনার নামে মামলা করার অধিকার থাকবে। আর এই মামলা যদি খুব গুরুতর হয়, তাহলে আদালত আপনার নামে জরিমানা করতে পারে। আবার এর থেকেও বেশি কিছু হলে আপনার জেল ও হতে পারে। তাই ডোমেইন কেনার আগে অবশ্যই অবশ্যই ট্রেডমার্কের কথাটা মাথায় রাখবেন।
ডোমেইন সিকিউরিটি কি? সিকিউরিটি বিষয়টির সাথে আমরা সবার কমবেশি পরিচিত। যেহুতু আপনি অনলাইনে একটি প্রোডাক্ট কিনবেন। সেহুতু সেটি অবশ্যই সিকিউরিটি প্রটেক্ট থাকতে হবে। ডোমেইনের ক্ষেএেও সেই সিকিউরিটি বহাল থাকতে হবে। আপনি একটি ডোমেইন কিনবেন, নিশ্চয়ই সেই ডোমেইনটি কয়েক বছর বা কয়েক যুগের জন্য কিনবেন, তাইনা? এখন আপনি যে কোম্পানির কাছ থেকে কিনবেন। সেই কোম্পানি যদি আপনাকে সিকিউরিটি প্রদান করতে না পারে। তাহলে পথিমধ্যে আপনার বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিবে। তাই এই বিষয়টিতে একটু বিশেষভাবে নজরে রাখবেন।

✔️ ডোমেইন ট্রান্সফার কি?

ডোমেইন ট্রান্সফার কি, আপনাকে সেটি আগে জানতে হবে। ধরুন আপনি কোনো একটি কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনলেন। এখন কোনো কারনে আপনি সেই কোম্পানিকে আপনার আর ভালো লাগলো না। তখন আপনার কেনা সেই ডোমেইনটিকে অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার করতে পারবেন। কিন্তুু সমস্যা হলো, কিছু কিছু কোম্পানি আছে। যারা ট্রান্সফারিং করার এই সুবিধা দিতে চায়না ৷ বেশি লাভের জন্য তারা তাদের ব্যবহারকারীদের হারাতে চায়না। সেক্ষেত্রে তারা লাভবান হলেও, আপনি বিপাকে পড়ে যাবেন। কারন, যখন এমন কোনো বাধাধরা নিয়ম থাকবে। তখন আপনি তাদের সেই নিয়ম গুলো মানতে বাধ্য।

✔️ ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের বিষয় গুলিঃ

প্রথম অবস্থায় ডোমেইনের কন্ট্রোল প্যানেল দেখলে আপানার মনে হতে পারে ডোমেইন ম্যানেজ করা অনেক কঠিন কিছু আসলে কিন্তু তা নয়। এটি অনেক সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। কন্ট্রোল প্যানেলে অনেক কিছুই দেওয়া থাকে তার মধ্যে আপনাকে যে মূল ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে তা আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

১। Contact Details : এই সেকশনে আপনি দেখতে পাবেন যে ডোমেইন টি কার নামে কেনা বা এটি রেজিস্টেশনে কোন ইমেইল ব্যবহার করা হয়েছে। যদি আপনাকে ফুল কোন্ট্রোল প্যনেল দেওয়া হয় আপনি চাইলে সব ডিটেইলস পরিবর্তন করতে পারবে

২। Privacy Protection: সম্ভব হলে এই প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবেল করে রাখবে। এটি করার জন্য আপনাকে বছরে ২-৪ ডলার পে করা লাগতে পারে। এটি করার উদ্দেশ্যে হলো অনেক সময় Whois থেকে ডোমেইনের মালিকের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার নিয়ে স্পামিং করা হয

৩। Name Server: ডোমেইন কেনার পর আপনার ডোমেনের কন্ট্রোল প্যানেলে আপনার হোস্টিং এর নেম সার্ভার বসিয়ে দিবেন যেটি আপনাকে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার দিয়েছে। নেম সার্ভার দেখতে অনেকটা নিচের মত হবে

ns2.w3techniaues.com

৪। Domain Secret: এটি হচ্ছে সবচেয়ে সেনসিটিভ একটা বিষয়। আপনার ডোমেইন প্যানেলে ডোমেন সিক্রেট অপশনে আপনি একটা কোড পাবেন যাকে EPP Code বলে। এই কোডের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন যেকোন সময় অন্য প্রোভাইডারে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। যেমন Name Cheap ট্রান্সফার করে W3 Techniques এ নিয়ে আসব

৫। Theft Protection: ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন এর পর পরই থেফ্ট প্রোটেকশন অন করে রাখা উচিত এতে করে আপনার ডোমেইনের EPP Code অন্য কারো কাছে থাকলেও সে আপনার ডোমেইন ট্রান্সফার করে নিতে পারবে না।

এরকম আরও ইনফরমেটিভ ব্লগ পেতে Stack Learner এর ব্লগ ওয়েবসাইটকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। Stack Learner এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।