Remote Jobs Preparation - Environments
রিমোট জবের জন্য নিজেকে প্রেসেন্টেবল করার কিছু টেকনিক
রিমোট জবের ক্ষেত্রে নিজেকে প্রফেশনাল ভাবে প্রেজেন্ট করাটা খুব বেশি জরুরি। সেটা শুধু সফটস্কিল দিয়ে সম্ভব নয়। প্রফেশনাল ভাবে প্রেজেন্ট করার ক্ষেত্রে একটা ভালো ওয়েব ক্যাম, ক্যামেরার ব্যাকগ্রাউন্ড একটা ভালো মাইক্রোফোন সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ।
যারা অলরেডি অনেক দিন থেকে রিমোট জব করেন তারা এই বিষয় গুলো বুঝে এবং সে ভাবে নিজের সেটাপ তৈরি করে নিতে পারে কারণ তাদের কাছে অভিজ্ঞতার সাথে সাথে টাকা আছে। সমস্যাটা হয় মূলত যারা প্রথম প্রথম রিমোট জবের জন্য অ্যাপ্লাই শুরু করে তাদের।
একটা কথা মাথায় রাখবেন ইন্টারভিউতে নিজেকে সর্বোচ্চ প্রফেশনাল রিপ্রেসেন্ট করাটা আপনার দায়িত্ব। শুধু এই একটা কাজ আপনাকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। ব্যাপারটা এমন না যে টাকা পয়সা কম থাকলে সুন্দর ভাবে নিজেকে প্রেসেন্ট করা যায় না। অল্প কিছু টেকনিক ব্যবহার করেই নিজেকে প্রফেশনাল ভাবে প্রেসেন্ট করা সম্ভব।
১৫০-২০০ টাকা খরচ করে বাজার থেকে সবুজ রঙের দুই গজ কাপড় কিনবেন। কিনে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে টানিয়ে নিবেন। প্রতিটা মিটিং অ্যাপ্লিকেশনেই ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যায়। পিছনে গ্রিন স্ক্রিন থাকলে ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো অনেকটা রিয়েলিস্টিক লাগে।
১ টা ৩০০ টাকার LED বাল্ব লাগিয়ে নিবেন আপনার সামনে, যেন ক্যামেরাতে আপনার ফেসটা ক্লিয়ার দেখা যায়। আর যদি ভালো ওয়েবক্যাম না থাকে তাহলে মোবাইল ফোনের ক্যামেরাকে ওয়েব ক্যাম হিসেবে ব্যবহার করবেন। কারণ ফোনের ক্যামেরা ল্যাপটপের ওয়েব ক্যামের থেকে অনেক ভালো।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেডফোন বা ইয়ারফোনের সাথে থাকা মাইক্রোফোনে কথা বলি যেখানে অডিও কোয়ালিটি অনেক খারাপ আসে। ১ হাজার টাকা দিয়ে একটা বয়ার মাইক্রোফোন কিনে নিলেই ক্রিস্টাল ক্লিয়ার কথা শোনা যাবে। হেডফোন যেমন হোক কোনো সমস্যা নেই, আপনি শুনতে পেলেই হবে। কিন্তু মিটিং এর অপর পাশে যে বা যারা আছে তারা আপনার কথা ক্লিয়ার শুনতে পাচ্ছে কিনা সেটা ইনশিউর করা খুবই জরুরি বিষয়।
আমাদের দেশে আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে নয়েস। দিনের বেলা গাড়ির হর্ন, বাড়ি বানানোর ভয়ংকর শব্দ, রাস্তায় হকারদের হাক তো আছেই। রাতের বেলা কুকুরের ডাক, নাইট গার্ডের বাঁশি, বাসার মানুষের চেঁচামেচি কত রকমের এক্সটার্নাল নয়েস। সব রকম নয়েস রিমুভ করার জন্য Krisp অ্যাপটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা একটা AI Powered নয়েস ক্যান্সেলিং অ্যাপ। শুধু মাত্র আপনার কথাটাই মিটিং এর অপর পাশের মানুষ শুনতে পাবে। বাকি সব কিছু রিমুভ করে দিবে। ফ্রি ভার্শনে দিনে ১ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন। শুরু করার জন্য আমার মনে হয় এর থেকে বেশি দরকারও নেই।
যে কোনো ইন্টারভিউতে নিজেকে প্রফেশনাল ভাবে প্রেজেন্ট করা খুবই জরুরি বিষয়। এটা যে শুধু আপনার প্রতি একটা ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করবে ব্যাপারটা তা নয়, পুরো জাতির প্রতি একটা ভালো ইম্প্রেশন তৈরি হয়ে যাবে। আপনার এই ছোট ছোট কাজ অন্য ক্যান্ডিডেটদের কেও ইন্টারভিউয়ারের গুড বুকে আসতে সাহায্য করবে।